আলোকিত মানুষ বিশিষ্ট কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন।  এক স্বনামধন্য প্রতিষ্টানে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের প্রধান, যিনি তার কর্মজীবনে অত্যন্ত সফল এবং সমাজসেবায় নিবেদিত। তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করলেও, তার চিন্তা, কাজ এবং দানের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ মানবিক গুণাবলি। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তি, কর্মনিষ্ঠ এবং বিজ্ঞান ও বইপ্রেমী মানুষ হিসেবে পরিচিত। ছদাহার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী জনাব নাসির, ১৯৯৪ সালে ছদাহা কে.ক স্কুল থেকে ফার্স্ট ডিভিশনে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে, ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ব্যাচেলর অব কমার্স শেষ করার পর ২০০১ সালে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা এবং ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম থেকে মার্কেটিং ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা নিয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন। পড়াশোনা শেষ করার পর, জনাব নাসির আল আমিন গ্রুপে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে এরিয়া ইনচার্জ হন। তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন কোটস বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আবুল খায়ের স্টিল লিঃ তে এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে পদোন্নতি পেয়ে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার হন এবং এরপর আনোয়ার গ্রুপে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। ২০১৭ সালে চায়না থেকে বাংলাদেশের কমার্সিয়াল এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে আবারও আনোয়ার গ্রুপে ফিরে আসেন। বর্তমানে, তিনি কনফিডেন্স সিমেন্টের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। জনাব নাসির শুধু তার পেশাগত জীবনে সফল নন, তিনি একজন মানবিক ব্যক্তি এবং সমাজসেবকও। তিনি নিয়মিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং করোনার সময় ত্রাণ ও উপহার সামগ্রী দিয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি প্রচারবিমুখ হলেও তার দানের হাত সবসময় প্রসারিত থাকে। এলাকার ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনে রয়েছে একটি আদর্শ সমাজ ও গ্রামের স্বপ্ন। তিনি বিশ্বাস করেন, এক মানবিক, উদ্যমী ও সৃজনশীল সমাজ গঠন করা সম্ভব, যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। বইয়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা এবং শিক্ষার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার তাকে "বইপ্রেমী শিক্ষানুরাগী" হিসেবে পরিচিত করেছে। তার আন্তরিক ‍উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত বর্ণগ্রাম লাইব্রেরি আজ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।