আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ জীবন পরিচালনার তাগিদে নানা কাজে তাদের মোট সময়ের একটি বড় অংশ বিভিন্নভাবে অপেক্ষা করে অতিবাহিত করতে বাধ্য হয়। জন সাধারণের অপেক্ষমান সময়কে মূল্যবান করে তুলতে, বিশেষ করে ছদাহার শিক্ষার্থীদের বইমুখী ও জ্ঞানের উন্মুক্ত চর্চার পরিবেশ তৈরি এবং ছদাহায় বইকে সহজলভ্য করতে করতে 'ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরি' শীর্ষক কার্যক্রম ২০২১ সালে শুরু করে। যা এখনও বাস্তবায়নাধীন আছে। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আত্মোন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বই পৌঁছে দিতে এবং পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে স্থাপন করবে বিশেষ বা স্থায়ী পাঠাগার।
কেন ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরি: সাতকানিয়ার সর্ববৃহৎ (আয়তন) ইউনিয়ন ছদাহা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছদাহার ৭৫৩৭ একর জায়গা জুড়ে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় প্রাণের ছদাহা শিক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অনেকদূর এগিয়েছে। তবে এই বিশাল এলাকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। শত শত স্বপ্নবাজ মানুষ স্বপ্ন দেখছেন একটি সমৃদ্ধ স্বপ্নের গ্রন্থাগার গড়ার। আমরা ছদাহার মানুষের স্বপ্ন পূরণে "ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরি " নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছদাহার প্রতিটি ঘরই লাইব্রেরি হিসাবে গড়ে তোলা হবে। আর লক্ষ্য হবে ছদাহায় বইকে সহজলভ্য করে আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। যা জ্ঞান নির্ভর সমৃদ্ধ সমাজ ও আলোকিত ছদাহা বিনিমার্ণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আর এটিই হবে দেশের ভিলেজ কমিউনিটি পর্যায়ে প্রথম ডিজিটাল লাইব্রেরি।
ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরির লক্ষ ও উদ্দেশ্য: 'ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরি' বইকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে সমাজে পাঠক সৃষ্টি এবং নিয়মিত পাঠককে বইয়ের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ করে দিয়ে মানসিক ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ গোষ্ঠীর জন্য গৃহীত হয়নি বরঞ্চ সর্ব সাধারণের মধ্যে বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি ও উৎসাহিত করবে। বই পাঠকের কাছে সহজলভ্য করার পাশাপাশি স্থায়ী ও বিশেষ পাঠাগারের মাধ্যমে জ্ঞান বিতরণের কাজকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে 'ছদাহা ডিজিটাল লাইব্রেরি'।
১. ছদাহার জনগণ ও শিক্ষার্থীদের বইমুখী করা এবং ছদাহার প্রতিটি বাড়িতেই পাঠাগার গড়ে তোলা।
২. জনসাধারণের অপেক্ষারত বিরক্তিকর সময়কে মূল্যবান করে তুলা।
৩. নতুন পাঠক সৃষ্টি এবং নিয়মিত পাঠকের হাতের কাছে সহজলভ্য করে দেওয়া।
৪. শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের বাইরে এসে সমসাময়িক বিষয়সহ বিজ্ঞান, কলা, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় ইত্যাদি সব শাখাতে পারদর্শিতা অর্জনে সহায়তা করা।
৫. মানসিক ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
৬. জ্ঞান নির্ভর সমাজ ও ছদাহা বিনির্মাণ করা।
প্রস্তাবিত কার্যাবলী :
১. স্থায়ী ও বিশেষ পাঠাগার (স্কুল/মাদ্রাসা/সেলুন) গড়ে তুলা। এবং ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু করা (ভ্যান/অটোতে)।
২. বই পর্যালোচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করা এবং সেরা পর্যালোচকদের পুরস্কৃত করা।
৩. নির্ধারিত বিষয়ে মাসিক বা ত্রৈমাসিক কর্মশালা করা।
৪. বিভিন্ন জাতীয় দিবসে কুইজ প্রতিযোগিতা করা।
৫. নির্ধারিত বিষয়ে লেখা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করা।
৬. সৃজনশীল আয়েজন, সম্মাননা ও সংবর্ধনা (অক্ষরবাড়ি)
৭, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ (অক্ষরবাড়ি)
৮.বৃত্তির সুযোগ ও প্রদানের জন্য কাজ করা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখা (অক্ষরবাড়ি)
৯. জেন্ডার সমতায় কাজ করা (অক্ষরবাড়ি)